[ad_1]
লিসা রে লিখেছেন, “তুমি কী করে দাঁড়িয়ে আছো? তোমার লাল রক্তকণিকার সংখ্যা তো একদম কম। যে কোনও মুহূর্তে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারো!” চিকিৎসকের মুখে এই কথাটা শুনে শিহরিত হয়ে উঠেছিলেন। চিকিৎসক প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেছিলেন।
সেটি করে অন্য এক চিকিৎচিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। তখনই জানতে পারেন তিনি ক্যান্সারের মতো কঠিন ব্যআধিতে আক্রান্ত। শুনে যেন পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। তবে স্টিম সেল সার্জারি হওয়ার পর পুনর্জন্ম হয়েছিল বলি অভিনেত্রী লিসা রে-এর।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার মাঝেও বই লিখেছেন লিসা। জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতাকেই নথিবদ্ধ করেছিলেন অভিনেত্রী। এই পরিস্থিতি জীবনকে নতুন করে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তবে কোনও দিন পরচুলা পরতে মন সায় দেয়নি।
তাই নেড়া মাথাতেই একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। আর এরপরেই চর্চায় চলে এসেছিলেন লিসা। শুধু তাই নয়, একটি শো থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কারণ সেই শোয়ের জন্য লম্বা চুলে প্রয়োজন ছিল।
তিন বছর পর ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন লিসা রে। সেই সময় পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছিল। তখন তিনি বিবাহিতা। ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, হার মানেননি। তিন সপ্তাহের জন্য বডি ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে রুটিন মেনে চলতেন।
এক মাসের মধ্যে ফের ক্যান্সারকে জয় করে সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন কসুর খ্যাত অভিনেত্রী লিসা রায়। এরপর ৯ বছরের মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি বই লিখে ফেলেছেন, ক্যান্সার নিয়ে সতর্কতা প্রোগ্রাম করেছেন। সেই সঙ্গে ছবির কাজও করেছেন। সব মিলিয়ে ক্যান্সারকে জয় করে জীবনের নতুনভাবে বাঁচতে শিখেছেন।
[ad_2]
Source link