[ad_1]
সোমবার ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, “হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি। “
একই সঙ্গে ভুয়ো তথ্যের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন সব্যসাচী। তিনি লিখেছিলেন, “আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার। ‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।” তাঁর এই পোস্টে বেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার ভক্তরা। কিন্তু, এখনও তাঁর দেহে রয়েছে সংক্রমণ, হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন টেলিভিশন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত তিনি। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই সময় ‘ফাইট’ করে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে ফের তাঁর ফুসফুসে একটি টিউমার ধরা পড়ে। সেই রোগের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি।
[ad_2]
Source link