শহীদ নূর হোসেন দিবস | SUN NEWS BANGLADESH

0
17

[ad_1]

সান নিউজ ডেস্ক : ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের আজকের এইদিনে যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল।


আরও পড়ুন : ট্রাক চাপায় ছাত্রদল নেতাসহ দু’জনের মৃত্যু


তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে নূর হোসেনের এই আত্মত্যাগ।


শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্থানস্থ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠান।


রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নূর হোসেনসহ সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


আরও পড়ুন : বিএনপির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে


১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে।


স্বৈরশাসকের সব বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। সেসময় তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল শুরু হয়। তার খালি গায়ে বুকে এবং পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’।


আরও পড়ুন : ছাত্রলীগ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা


সমাবেশ শুরুর সাথে সাথে সাথে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ শুরু হয়। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য।


নূর হোসেন আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন স্বৈরাচারী শাসক।


আরও পড়ুন : শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় সাহসী পুরুষ ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


নূর হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তাঁর পরিবার স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার ৭৯/১ বনগ্রাম রোডে চলে আসে।


আরও পড়ুন : ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা


পিতা মুজিবুর রহমান ছিলেন পেশায় অটোরিকশা চালক। তাঁর মায়ের নাম মরিয়ম বিবি। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর নূর হোসেন পড়াশোনা বন্ধ করে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।


আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন নূর হোসেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।


সান নিউজ/এইচএন

[ad_2]

Source link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here