ভেজাল খাদ্যে দেশ ভরে গেছে

0
17

[ad_1]

সান নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্যে দেশ ভরে গেছে। যে খাবারগুলো আমরা খাচ্ছি তার সবই প্রায় ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাক-সবজিসহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যানসার, কিডনিসহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।


আরও পড়ুন: বিএনপির দেশ চালানোর সুযোগ নেই


মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে একে উপস্থিত সবার কথা শোনেন এবং সবাইকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।


এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন


জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রায় সব ধরনের খাদ্যে বিষাক্ত ওষুধ মেশানো হচ্ছে। ভেজাল খাদ্যে ছেয়ে গেছে বাজার। হোটেল-রেস্তোরাঁ, দোকান ও হাটবাজারে ভেজাল খাবার বিক্রি হচ্ছে। এতে নানা রোগব্যাধি যেমন বাড়ছে, বিপরীতে ওষুধের ব্যবসাও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় মানুষ যাবে কোথায়, খাবে কী?


স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে করণীয় বিষয়ে ওই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয় না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক, খাদ্যে বিষ মেশালে উৎপাদক কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোনো ছাড় পায় না।


আরও পড়ুন: কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না


জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এ ভেজাল কারবারিদের এখনই থামাতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভূমিকা আরও জোরালো করার পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, এমন ধারণা নিয়ে পড়ে থাকলে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করবো।


সান নিউজ/কেএমএল

[ad_2]

Source link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here