[ad_1]
সান নিউজ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে বলেন, ক্ষমতায় থাকতে জিয়া ও বেগম জিয়া উভয়েই হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বিমান এমডির কক্ষ থেকেই হয় প্রশ্নফাঁস
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যদি ‘পলিটিক্স অব কনফ্রন্টেশন’ কে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হয়, বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার; অন্যথায় দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানী করেন নাই, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন।
আরও পড়ুন : চার ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য তখন এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল কার্যত জিয়াউর রহমানের হাতে। কারণ তখন জিয়াউর রহমানই ক্ষমতায় ছিলেন এবং তিনি প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের আওতাধীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা অর্থাৎ বিপথগামী সেনাসদস্যরা গিয়েই কারাগারে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছিল। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান যে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তা নয়, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান যুক্ত।
আরও পড়ুন : বরিশাল-ভোলা লঞ্চ চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, বিচার ছাড়াই হত্যা করেছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন জিয়াউর রহমানের হাতে সংঘঠিত হয়েছিল।
পরে খালেদা জিয়াও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির মাধ্যমে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছিল বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ।
সান নিউজ/এইচএন
[ad_2]
Source link