বাংলাদেশের নাটকীয় জয় | SUN NEWS BANGLADESH

0
13

[ad_1]

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ রানে নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে আসরটির সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা। রুদ্ধশাস খেলায় নুরুল হাসান অপেক্ষা করে থাকলেন কিছুক্ষণ। এরপর ভাঙলেন স্টাম্প। মোসাদ্দেকের হোসেনের বলে আবার ব্যাট চালিয়েছিলেন মুজারাবানি, তবে মিস করে গেছেন আবারও। দ্বিতীয় দফা জয়ের উদ্‌যাপন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জিতল ৩ রানে।


আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট


রোববার (৩০ অক্টোবর) ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে শেষ বলে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ৫ রান। শেষ বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্টাম্পিং করেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। উল্লাসে ফেঁটে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। এর মাঝেই মাঠ ছাড়েন দুদলের ক্রিকেটাররও। কিন্তু খেলার নাটকীয়তার তখনও বাকি। স্টাম্পের আগেই বল ধরায় আাম্পায়ার দেন নো বলে ইশারা। তাতে আবারও মাঠে নামেন দুদল। তখন জয়ের জন্য দরকার শেস বলে ৪ রান। আবারও বল করলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু হয়নি ব্যাটে-বলে স্পর্শ। ফলে ৩ রানের নাটকীয় জয় পেল বাংলাদেশ দল। স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে ৩ রানে জিতে গেলো বাংলাদেশ।


এর আগে শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৬ রান। শেষ ওভার করার জন্য সাকিব আল হাসান বল তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। ব্যাট করছেন ব্রাড ইভান্স এবং রায়ান বার্ল। প্রথম বলে দিলেন ১ রান। দ্বিতীয় বলে ব্রাড ইভান্স ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে বলটি তালুবন্দী করে নিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান।


আরও পড়ুন: নেপাল যাচ্ছেন সিইসি


তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দেন ব্রাড ইভান্স। চতুর্থ বলে দিলেন ছক্কা। ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ইভান্স। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি নুরুল হাসান সোহান। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। এবারও স্ট্যাম্পিং।


আউট ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল ধরে ফেললেন নুরুল হাসান সোহান। থার্ড আম্পায়ার রিভিউ করে দিলেন নটআউট এবং ঘোষণা করলেন নো বল। ফলে এক রান যোগ হওয়ার পাশাপাশি দু’দলকে আবারও মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়। শেষ বলে মুজারাবানি কোনো রান করতে পারেননি।


আরও পড়ুন: সমাবেশ-মিছিল নিয়ে রুল


১৫০ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে চারটি উইকেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে তাসকিনের আহমেদের করা বলে ক্যাচ আউট হন ওয়েসলে ম্যাধেভেরে। নিজের করা পরে ওভারে জিম্বাবুইয়ান দলনেতা ক্রেইগ আরভিনকে ফেরান তাসকিন। ৪ রানে ম্যাধেভেরে ও ৮ রানে আরভিন আউট হন।


এদিকে নিজের করা প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে সুম্বা ও পঞ্চম বলে আউট হন সিকান্দার রাজা। আউট হওয়া আগে সুম্বা ৮ রান করলেও রানের খাতায় খুলতে পারেননি রাজা। এছাড়া ১৫ রানে আউট হন চাকাভা।


আরও পড়ুন: পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি না


৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন উইলিয়ামস। সাকিব আল হাসানের করা ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে রান আউট হন তিনি।


বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: বাগদাদে বিস্ফোরণ, নিহত ১০


এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারালেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সে সঙ্গে ওপেনিংয়ে বরাবরের মতই দৈন্যদশার প্রদর্শনী দেখালো টাইগাররা। মাত্র দুটি বল মোকাবেলা করলেন সৌম্য। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন রেগিস চাকাভার হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১০।


সৌম্য আউট হওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু খুব বড় হলো না এই জুটি। ২২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মুজারাবানিকে। এসেই উইকেট তুলে নিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে


মুজারাবানি ওভারের তৃতীয় বলে তেন্দাই চাতারার হাতে লিটন দাসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন। ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। তিনটি ছিল বাউন্ডারির মার।


লিটন দাস আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত- এই দুই বাঁ-হাতি মিলে বাংলাদেশকে বেশ ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫০ প্লাস রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা দু’জন।


আরও পড়ুন: টেবিলের শীর্ষে ভারত


হঠাৎই ছন্দপতন! শন উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। স্লোয়ার দিয়েছিলেন উইলিয়ামস। সাকিব চেয়েছিলেন স্লগসুইপ খেলতে। কিন্তু বল ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ব্লেসিং মুজারাবানি শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটিকে তালুবন্দী করলেন।


অধিনায়ক সাকিব ২০ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিলেন। বাউন্ডারি মারলেন কেবল ১টি। সাকিব আউট হওয়ার পরই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১৬তম টি-টোয়েন্টিতে এসে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর


হাফ সেঞ্চুরি করার পরপরই দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে নজর দেন শান্ত। ১৬তম ওভারে ১৬ রান নেন তিনি। কিন্তু ১৭তম ওভারে সিকান্দার রাজার স্লোয়ার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিন সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।


আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মারে সাজানো ছিলো তার ইনিংস।


মান অব দ্যা ম্যাচ তাসকিন


বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।


জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন, মিল্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা, রায়ান বার্ল, টেন্ডাই চাতারা, ব্র্যাড ইভান্স, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।


সান নিউজ/কেএমএল

[ad_2]

Source link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here