[ad_1]
স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাচদের বিপক্ষে ৯ রানে জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হার অনেকটাই পেছনের ঠেলে দিয়েছে টাইগারদের। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জিম্বাবুয়েকে পেয়েছে সাকিব-লিটনরা।
আরও পড়ুন : টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫০ রান আসেনি, দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তো ১০১ রান তুলতেই অলআউট! অবশেষে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসে ১৫০ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ।
কিন্তু আফিফ-মোসাদ্দেকের মত ব্যাটার থাকার পরও শেষ ওভারে উঠলো কেবল ৭ রান। উল্টো বাংলাদেশকে তিনটি উইকেট হারাতে হলো। জিম্বাবুয়ের বোলার রিচার্ড এনগারাভা। প্রথম বলটাই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে বাউন্ডারি হয়নি, তবে ৩ রান নিলেন আফিফ-মোসাদ্দেক।
পরের বলে তেড়ে-ফুঁড়ে মারার প্রস্তুতি নিয়ে মোসাদ্দেক খেললেন রক্ষণাত্মক শট। ব্যাটের কানায় লেগে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিলেন চাতারার হাতে।
আরও পড়ুন : লঙ্কানদের উড়িয়ে দিল কিউইরা
নুরুল হাসান সোহান উইকেটে এসেই বোলার বল হাত থেকে ছাড়ার আগেই তিনি রিভার্স সুইপ খেলার জন্য ব্যাট পেতে দিয়ে রাখলেন। বোলার করলেন ফুলটস বল। উল্টো নিজের হেলমেই বল দিয়ে আঘাত করলেন তিনি। তবুও ১ রান করলেন।
আফিফ হোসেন পরের বলে খেললেন। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেলেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলে ইয়াসির আলী রাব্বি তেড়ে-ফুঁড়ে মেরেও ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না রাব্বি। শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এনবারাভার স্লোয়ার বুঝতেই পারেননি আফিফ। এলবিডব্লিউ হয়ে যান।
শান্তর ব্যাটে যেভাবে রান উঠেছিল, তাতে শেষ দুই-তিন ওভারে রান সেভাবে উঠলো না। বিশেষ করে শেষ ওভারে যারপরনাই হতাশ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন : আফগান-আইরিশদের ম্যাচ বাতিল
যেভাবে ১৬০ প্লাস রান হওয়ার কথা, সেখানে স্কোর থেমে গেলো ১৫০ রানে। উল্টো শেষ ওভারে তিনটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে সেমির আশা টিকিয়ে রাখতে হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ জিততেই হবে। এই সমীকরণ সামনে নিয়ে ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারালেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সে সঙ্গে ওপেনিংয়ে বরাবরের মতই দৈন্যদশার প্রদর্শনী দেখালো টাইগাররা। মাত্র দুটি বল মোকাবেলা করলেন সৌম্য। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন রেগিস চাকাভার হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১০।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
সৌম্য আউট হওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু খুব বড় হলো না এই জুটি। ২২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মুজারাবানিকে। এসেই উইকেট তুলে নিলেন তিনি।
মুজারাবানি ওভারের তৃতীয় বলে তেন্দাই চাতারার হাতে লিটন দাসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন। ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। তিনটি ছিল বাউন্ডারির মার।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত- এই দুই বাঁ-হাতি মিলে বাংলাদেশকে বেশ ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫০ প্লাস রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা দু’জন।
আরও পড়ুন : টেবিলের শীর্ষে ভারত
হঠাৎই ছন্দপতন! শন উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। স্লোয়ার দিয়েছিলেন উইলিয়ামস। সাকিব চেয়েছিলেন স্লগসুইপ খেলতে। কিন্তু বল ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ব্লেসিং মুজারাবানি শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটিকে তালুবন্দী করলেন।
অধিনায়ক সাকিব ২০ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিলেন। বাউন্ডারি মারলেন কেবল ১টি। সাকিব আউট হওয়ার পরই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১৬তম টি-টোয়েন্টিতে এসে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিশাল ব্যাবধানে হারল টাইগাররা
হাফ সেঞ্চুরি করার পরপরই দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে নজর দেন শান্ত। ১৬তম ওভারে ১৬ রান নেন তিনি। কিন্তু ১৭তম ওভারে সিকান্দার রাজার স্লোয়ার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিন সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।
আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মারে সাজানো ছিলো তার ইনিংস।
সান নিউজ/এইচএন
[ad_2]
Source link