[ad_1]
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চল থেকে নিজেদের সব সৈন্য প্রত্যাহার পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, খেরসনের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টায় শহরটি থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। একটি সামরিক সরঞ্জামও ফেলে যায়নি রুশ সেনারা।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে বন্দুক হামলা, নিহত ৯
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিনিপ্রো নদীর বাম তীরে রুশ সৈন্যদের স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে। ডান (পশ্চিম) তীরে সামরিক সরঞ্জাম বা অস্ত্রের একটি ইউনিটও আর নেই। রাশিয়ান সব সেনারা বাম তীরে চলে গেছে।
তবে রাশিয়ার এই দাবির ব্যাপারে স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাশিয়াপন্থী যুদ্ধ ব্লগাররা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বলেছেন, নদী পার হওয়ার সময় ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রচণ্ড গোলাগুলির মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গিলে খাবে
রুশ সেনারা যেসব অঞ্চল থেকে সরে গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে খেরসন শহর। ইউক্রেনে রাশিয়ার সাড়ে আট মাসের আক্রমণে এটিই ছিল রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী।
এর আগে, বুধবার খেরসন অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেয় রাশিয়া। সেই সময় মস্কো জানায়, ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান পাল্টা আক্রমণের মুখে আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনের ভৌগলিক অবস্থান বজায় রাখা এবং সেখানে সৈন্য সরবরাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৪৮
খেরসন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের গতি যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হাত থেকে এই অঞ্চলের দখল ছিনিয়ে নেওয়ার চেয়েও বেশি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের এই গতি প্রত্যাশিতই।
বুধবার মার্কিন শীর্ষ এক জেনারেল বলেছেন, রাশিয়ার ২০ থেকে ৩০ হাজার সৈন্য নদী পেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আর এই প্রত্যাহার সম্পন্ন করতে ‘কয়েক দিন’ এমনকি ‘সপ্তাহও’ লাগতে পারে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রত্যাহারের জন্য অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে তিনি আশা করছেন।
সান নিউজ/এমআর
[ad_2]
Source link