খুনিদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন ‍পুতিন! | SUN NEWS BANGLADESH

0
11

[ad_1]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেলফেরত খুনি ও মাদক কারবারীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে ইউক্রেনে যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।


আরও পড়ুন: এবার শীর্ষে দ. কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট পুতিন আইন সংশোধন করেছেন। সংশোধিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদেরও সেনাবাহিনীতে (রিজার্ভ ফোর্সে) যুক্ত করার বিষয়টি রাখা হয়েছে। তবে জঙ্গিবাদ ও শিশু যৌন নির্যাতনের অপরাধে জেলখাটাদের এ আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।


এদিকে, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের গঠিত একটি কমিশন জানায়, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিকদের হত্যা এবং যৌন নির্যাতন। ইউক্রেনও দাবি করেছে, রুশ সেনারা হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধ করেছে। এখন দণ্ডপ্রাপ্তদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোয় এ ধরনের অপরাধ আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভোটগ্রহণ শুরু


সেপ্টেম্বরেই খবর বের হয় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ জেলবন্দিদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জেলবন্দিদের প্রস্তাব দিচ্ছেন- যদি তারা ছয় মাস ইউক্রেনে যুদ্ধ করে তাহলে তাদের সাজা মওকুফ করে দেওয়া হবে।


যদিও রাশিয়ার আইনে ‘যুদ্ধ করার বদলে শাস্তি মওকুফের’ কোনো সুযোগ নেই। তবুও জেলবন্দিদের এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আগে ওয়াগনার গ্রুপ গোপনে তাদের কার্যক্রম চালালেও এখন প্রকাশ্যে তারা সদস্য সংগ্রহ করছে। এ শুক্রবারই সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজেদের অফিস খুলেছে ওয়াগনার।


আরও পড়ুন: বন্ধুদের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে


এর আগে সামরিক অভিযান চালাতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠান পুতিন। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে আট মাস। কিন্তু এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। এদিকে, ২২ সেপ্টেম্বর আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর পুরো রাশিয়াজুড়ে সেনা সমাবেশের কার্যক্রম চলে। সেপ্টেম্বরের শেষে এ কার্যক্রম শেষ হয়।


প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে যেসব সেনা সমাবেশ করা হয়েছিল তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে চলে গেছে।


ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা (ভিডিও)


এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রুশ সেনারা। এ কারণে পুতিনকে বাধ্য হয়ে নতুন করে সেনা সমাবেশ করতে হয়েছে।


সান নিউজ/কেএমএল

[ad_2]

Source link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here